বাজার করার নাম করে স্বামী-সন্তান ফেলে উধাও গৃহবধূ

প্রেম করে বিয়ে। ১৫ বছর সংসার করার পর উধাও বধূ। যোগাযোগ করা যাচ্ছে না মোবাইলেও। স্ত্রীর হদিশ পেতে পুলিশের দ্বারস্থ স্বামী। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলির রিষড়া মোড় পুকুর আদর্শনগর এলাকার বাসিন্দা কবিতা সিং নামে ওই বধূ।

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২ জানুয়ারি সকালে বাজার করার নামে বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। তারপর আর ফেরেননি। পরিবারের লোকজন অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পাওয়ায় গৃহবধূর স্বামী ধর্মেন্দ্র সিং রিষড়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, সোশ্যাল মিডিয়ায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ওই গৃহবধূর। তার সঙ্গেই কোথাও চলে গিয়ে থাকতে পারেন কবিতা।

জানা গেছে, ১৫ বছর আগে কোন্নগর চটকল এলাকার কবিতাকে ভালবেসে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র। তাদের ১৩ বছরের একটি ছেলে ও ৬ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। ধর্মেন্দ্রর রিষড়া এলাকায় একটি ট্রাভেলিং এজেন্সি রয়েছে। স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ধর্মেন্দ্র। তিনি জানান, ছয় বছরের মেয়ে সারাদিন ধরে কেঁদে যাচ্ছে মায়ের জন্য। কী করে সামলাবেন ভেবে ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না।

তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ত্রীকে ফিরে আসার আবেদনও জানিয়েছেন। তার থেকেই মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধর্মেন্দ্র জানান, দীর্ঘ ১৫ বছরের বিবাহিত জীবনে স্ত্রীর সঙ্গে তার কোনও অশান্তি হয়নি। তবে কবিতা বেশ কিছুদিন ধরে কারও সঙ্গে অনেক রাত পর্যন্ত চ্যাট করত। ধর্মেন্দ্রর সন্দেহ কারও প্ররোচনায় পা দিয়ে ঘর ছেড়েছে স্ত্রী। ধর্মেন্দ্রর আবেদন সন্তানদের মুখ চেয়ে যেন স্ত্রী ফিরে আসে। সেক্ষেত্রে স্ত্রী ফিরে এলে তিনি তাকে ঘরে ফিরিয়ে নেবেন। অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ধর্মেন্দ্র অত্যন্ত ভাল ছেলে। গত তিন বছর ধরে করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা ভাল চলছিল না ধর্মেন্দ্রর। তাই আর্থিক কিছু সমস্যার কারণে ওই গৃহবধূ বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে পারেন। অন্যদিকে ঘটনার পর থেকেই ওই গৃহবধূর মোবাইলের সুইচ অফ থাকায় তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারছে না পুলিশ। তবে পুলিশ জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই ওই গৃহবধূর খোঁজ পাওয়া যাবে।